B.Ed Semester – 4, Course – 1.4.11, ( Guidance & Counselling ) , Project on Maladjustment behavior on the basic of Case Study. Timidity.(শিক্ষার্থীদের অপসংতিমূলক আচরণ সংক্রান্ত কেস স্টাডি)

A. Introduction :-

নির্দেশনা ও পরামর্শদান বিষয়ে আলোচ্য  প্র্যাকটিকালের অধ্যায় অন্তর্গত, কেস স্টাডি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে অপসংগতিমূলক আচরণগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সনাক্তকরণ ও সম্ভাব্য সমাধানযোগ্য সিদ্ধান্ত দেওয়া।

1. What do you mean by Project?

ইংরেজি প্রজেক্ট কথাটির বাংলা আক্ষরিক অর্থ হলো- প্রকল্প । অর্থাৎ প্রকল্প বলতে বোঝায় কোন বিষয় বা বস্তু সম্পর্কিত পরিকল্পনা , যার ফলশ্রুতি হিসাবে আমরা ভবিষ্যৎ জানতে পারি ।অর্থাৎ একটি পরিকল্পনার বা উদ্দেশ্যে, যার পেছনে থাকা অনেক মানুষের সযত্ন ও পরিমার্জিত কাজ। যা ভবিষ্যতের  প্রজন্মকে সহযোগিতা করে থাকে, তাই হলো প্রকল্প। এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। যা তথ্য প্রয়োগের কৌশল এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে , একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

2. What is the Case Study?

ইংরেজি CASE  শব্দটির অর্থ হল – কোন একটি একক নমুনা।যা সমগোত্রীয়,  অন্যদের চেয়ে কিছুটা হলেও স্বতন্ত্রতা বহন করে। ফলে এককভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন অস্তিত্বে, বা কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যালোচনা করার নাম হলো- কেস স্টাডি। কেস স্টাডির অন্যতম ভিত্তি হল , কোন বৈশিষ্ট্যের সূত্রপাত, প্রকৃতি, ইত্যাদি সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ জানা। এক্ষেত্রে ব্যক্তির সামাজিক, ব্যক্তিগত, শারীরিক ,পরিবেশগত সকল তথ্যই সংগঠিত করা হয়, এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে। এই বিবরণটি ব্যক্তিগত বিবরণ বা জীবনী ইতিহাস গত  বিবরণও হতে পারে। তাই একজন চিকিৎসকের কাছে প্রত্যেকটি রোগীর সমস্যা এক একটি কেস । কারণ সেই রোগগ্রস্ত ব্যক্তির আলাদা আলাদা স্বতন্ত্র কেস বা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যায় ।তাই সমগ্র বৈশিষ্ট্যের উৎপত্তি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত বিবরণী কেস স্টাডির মধ্যে অন্তর্গত ।

3. What is the Maladjusted Behavior?

 সঙ্গতিবিধানের বিপরীত হলো অপসংগতি অর্থাৎ সংগতিবিধান  হল সমাজ সমর্থিত পথে চাহিদা পূরণ । তাহলে অপসংগতি হলো সমাজের অবাঞ্ছিত পথে চাহিদা পূরণের একটি সহজ মাধ্যম । যেমন – পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে অপরের নজর আকর্ষণ করা, একটি স্বাভাবিক চাহিদা । কিন্তু বিদ্যালয়ে বিশৃংখল সৃষ্টি করে অন্যের নজর আকর্ষণ করা, একটি অপসংতিমূলক আচরণ। সুতরাং সঙ্গতিপূর্ণ আচরণে ব্যক্তির চাহিদা, চাহিদা পূরণের ফলে ব্যক্তির মধ্যে তৃপ্তি বোধ এবং পরিবেশের সঙ্গে সার্থক অভিযোজন হওয়া, এর ফলেই সঙ্গতিবিধান হয় । কিন্তু অপসংগতি হল এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের অভাবে ফলে সৃষ্টি স্বভাবগত দিক। সুতরাং এইসব চাহিদার মধ্যে কিছু সাধারণ চাহিদা বা বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলির অতৃপ্ত বা চাহিদা পূরণ হয় না তার থেকেই অপসংগতি সৃষ্টি হয়।।

4. Type of the maladjusted behavior & short discuss

বিভিন্ন ধরনের অপসংগতিমূলক আচরণ আছে , তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো  –

স্কুল পালানো(Truancy) :-

শিক্ষার্থীর মধ্যে নানারকম অভিযোজন গত সমস্যা, লক্ষ্য করা যায় । তার মধ্যে অন্যতম হলো স্কুল পালানো। এটি বিদ্যালয়ে প্রাক অনুমতি না নিয়েই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করাকে স্কুল পালানো বলে।

মিথ্যা কথা বলা(Lying):-

এটি একটি অপসংগতিমূলক আচরণ । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের মিথ্যা কথা বলা  , অপসংগতি মূলক আচরণের মধ্যে পড়ে ।বাস্তব জীবনের ইচ্ছা পূরণ করতে , মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে, পিতা-মাতা, ও শিক্ষকদের অবহেলার দরুণ অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে, মিথ্যা কথা বলার আশ্রয় নেয়।

ভীরুতা (Timidity):-

অপসংগতি মূলক আচরণের আরেকটি লক্ষণ হল ভীরুতা। নিজেকে প্রকাশ করতে না পারা এবং সহজেই অভিযোজন করতে ব্যর্থ হলে, ভীরুতা দেখা যায় । ভীরুতার লক্ষণ গুলি-  আবেগ অস্থিরতা, অনিদ্রা ,দুঃস্বপ্ন , প্রভৃতির জন্য এই অমনোযোগীতা তৈরি হয়।

চুরি করা(Stealing):-

 বয়:ন্ধিকালে কিশোর – কিশোরীদের মধ্যে ,প্রাক অনুমতি ছাড়া কোন বস্তুকে গ্রহণ করাকেই চুরি করা বলে। চুরি একটি অসামাজিক অনৈতিক কাজ । অনেক সময় মানুষ অভাবের তাড়না বসত চুরি করে ,আবার অনেক সময় মানুষের অভাব না থাকলেও চুরি করে।

দুশ্চিন্তা(Anxiety):-

দুশ্চিন্তা বা উৎকণ্ঠা ব্যক্তিত্বের আরেকটি সংলক্ষণ ।যা সব ব্যক্তিদের মধ্যেই থাকে, এটি একটি প্রক্ষোভগত আচরণ। তবে মাত্রারিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে অপসংগতি মূলক আচরণ দেখা যায় । অর্থাৎ ব্যক্তির প্রত্যাশা পূরণ না হলে নিজের ওপর আস্তার অভাব হলে, দুশ্চিন্তা তৈরি হয়।

অকারণ ভীতি(Phobia):-

দুশ্চিন্তা সংক্রান্ত মানসিক বিশৃঙ্খলা যার দ্বারা সর্বাপেক্ষা অধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়। ফোবিয়াকে অকারণ আতঙ্ক বলা যায়। কেননা- কেউ  যদি কোন বস্তু, শব্দ, কাজ এবং পরিস্থিতির প্রতি এড়িয়ে চলতে চায়। তাকেই অকারণ ভয় বলে।

হিস্টোরিয়া(Hysteria):-

শারীরিক রোগের কারণ না থাকলেও কখনো কখনো কতকগুলি পরিস্থিতি অনুসারে শারীরিক অবস্থার লক্ষণ দেখা যায়। এই বিশৃঙ্খলার একটি পর্যায় হল হিস্টোরিয়া বা কনভারশন ডিসঅর্ডার ।এটি একটি অন্তরদ্বন্দ্বের  বহি:প্রকাশের ফল ।

আবেশিক -অনুকর্ষ বিশৃঙ্খলা (OCD):-

Obsession  শব্দের অর্থ হলো- এমন এক ধরনের চিন্তা যা চেষ্টা করেও প্রতিরোধ করা যায় না, অন্যদিকে Compulsion কথার অর্থ হল- অপ্রয়োজনীয় কাজ যা বারবার সংগঠিত করা । Obsession এবং Compulsion  পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিশৃঙ্খলা আচরণকেই  বলা হয় OCD .

বিষন্নতা(Depression):-

যখন কোন বিষয়ের সাথে নিজেকে সঠিকভাবে মানিয়ে নিতে না পারলে অথবা মানিয়ে নেবার ক্ষমতা না থাকলে তখনই এই বিষয়ের প্রতি অসন্তোষ দেখা যায়  তাকেই ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা বলা হয় । এটি একটি আবেগ জনিত বিকার , যাকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অশান্তি, আত্মবিশ্বাসের অভাব, বাস্তব বিষয় সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণহীনতা, প্রভৃতির কারণে বিষন্নতা তৈরি হয়।

অসামাজিক আচরণ (Anti-social Behaviors) :-

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকলে সামাজিক আচরণকে সাধারণ অপরাধ পরায়ন বলা হয় না। ব্যক্তি যখন সমাজ নির্ধারিত আচরণে বিপরীত আচরণ সম্পাদিত করে তখন তা অসামাজিক আচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়।কারণ এই ধরনের আচরণ যা স্বাস্থ্যের পক্ষেও হানিকারক।।

উপরিক্ত অপসংগতিমূলক আচরণ গুলির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিয়ে, অপসংতিমূলক সমস্যা যুক্ত শিক্ষার্থীকে সনাক্তকরণ করতে হবে।।

B. Objectives of the Study :-

প্রাকটিক্যালটি সম্পন্ন করার শেষে, যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে তা হলো –

1. অপসংতিমূলক আচরণ বলতে কি বোঝায়? সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

2. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অপসংগতি মূলক আচরণটি সনাক্তকরণ করা যাবে।

3. অপসংতিমূলক আচরণের সঠিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে।

4. অপসংগতিমূলক আচরণের সনাক্তকরণ প্রক্রিয়াগুলি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে।

5. বিদ্যালয়ে অপসংগতিমূলক আচরণ যাতে শিক্ষার্থীরা না করে, সে সম্পর্কে নির্দেশনাগুলি জানা যাবে।

6. অপসংগতিমূলক আচরণগত শিক্ষার্থীর সমস্যার সমাধান কিভাবে সম্ভব, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে।

7. পরিশেষে এই প্রাকটিক্যাল বা এই প্রকল্পটির শেষে কিভাবে স্কুলে ব্যবহার করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

C. Methodology :-

1. Selection of tools for gathering data :-
(observation/check list / interview etc..)

আলোচ্য প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করতে গেলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলি গ্রহণ করতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি এবং সাক্ষাৎকার পদ্ধতি ।এই দুই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই শ্রেণিকক্ষে অপসংতিমূলক আচরণগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সনাক্তকরণ করা যাবে এবং তাদের প্রকৃত সমস্যার সমাধানযোগ্য উপায় বের করা যাবে। তাই প্রথমে Observation এবং পরবর্তী Interview  এবং চেকলিস্ট পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত কেস স্টাডি বা জীবন ইতিহাস তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে ,প্রকৃত সমস্যা সমাধানের সঠিক নির্দেশ দেওয়া যাবে।

D. Procedure of  Data Collection :-

আলোচ্য অপসংতিমূলক আচরণ সংক্রান্ত কেস স্টাডি প্রাকটিকাম সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে শিক্ষার্থীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করার পর , সাক্ষাৎকার পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং পিতা-মাতার কাছ থেকে  তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

1. Identification of Maladjustment Behavior :-

অপসংগতিমূলক আচরণ সনাক্তকরণ করতে গেলে প্রথমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পর্যবেক্ষণের এবং চেকলিস্ট এর মধ্যে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে , তা হলো –

Identification of Data ( শিক্ষার্থীদের সনাক্তকরণ সম্পর্কীত তথ্য):-

I.       Name :  ( শিক্ষার্থীর নাম লিখতে হবে )  সুমন দাস ।
II.     School Name :  ( শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের নাম লিখতে হবে ) 
III.   Age :      12.          Class :  VII.
IV.   Gender of the Child :   Male  Ο ✔️ Female Ο

V.     Religion : ( নির্বাচন করুন অথবা ✔️ চিহ্ন দিন)    Hindu Ο✔️/ Muslim Ο  / Christian Ο  / Others Ο 

VI.   Present Address: ( শিক্ষার্থীর বর্তমান ঠিকানা লিখতে হবে )

VII. No .Of Siblings Birth Order : ( নির্বাচন করুন)  Yes  O✔️/No  O/  (Where Yes ..specifying Numbers)   সুমনের দাদা আছে।

VIII. Family Dynamic :      ( নির্বাচন করুন)   (Joint✔️/Nuclear)

সুমন দাসের পরিবারে সুমনের মা-বাবা, দাদা এবং দাদু ঠাকুমা ,মিলে মোট সদস্য সংখ্যা হল ৬ জন।

IX. Socio -Economic Status :    ( নির্বাচন করুন)     (Good/ Moderate✔️/Bad)

সুমন দাস এর পরিবারের অর্থ সামাজিক অবস্থা হলো মধ্যবিত্ত সুমনের বাবা চাষ করেন ।এছাড়া সুমনের বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি।

X. Whether any other member has any Disability :   ( নির্বাচন করুন)    (Yes✔️/No)

সুমনের পরিবারের মধ্যে একটা অন্তর্মুখী তা ব্যক্তিসত্তা লক্ষ্য করা যায়।প্রত্যেকেই সমাজের সাথে মেলামেশা খুব একটা করে না। প্রয়োজন ছাড়া সমাজে কারো সাথে কথা বলে না। বিশেষত সুমনের ঠাকুমার মধ্যে এই ধরনের একটা অপসংগতি লক্ষ্য করা যায়। এবং সুমনের দাদু খুব বদমেজাজি স্বভাবের মানুষ।

XI. If yes, Relation with the Child :

পরিবারে সুমনের পরিবারে সুমনের ঠাকুমা এবং দাদুর মধ্যে কিছু অপসংতিমূলক আচরণ লক্ষ্য করা যায়।

XII. Name of the maladjusted behavior :-

আলোচ্য আলোচনাটিতে সুমন দাশ নামে একজন শিক্ষার্থীর অপসংগতি মূলক আচরণ হিসেবে ভীরুতা (TIMIDITY) নিয়ে আলোচনা করব। এবং কিভাবে এই সমস্যা সমাধান করা যায় এবং সঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় , সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানবো।

2. Causes of the Maladjusted Behavior :-

  •  পিতা-মাতা কর্তৃক শিক্ষার্থীর মৌলিক চাহিদা পূরণে উদাসীন থাকে।

  • অভিযোজনের সক্ষম না হওয়ার জন্য অহেতুক  ভয়।

  • প্রত্যাশা বা ইচ্ছার পরিতৃপ্তি না ঘটা।

  • আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ দেখা যায়।

  •  পিতা-মাতার ভীরুতা সন্তানের মধ্য দিয়ে পরিলক্ষিত হয়।

  • পরিবারে অশান্তি সর্বদা কলহ সন্তানের প্রাকৃতিক জীবনে নানা রকম সমস্যার কারণ।

  • পিতা-মাতা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হতাশা উদ্বেগের কারণ।

3. Symptoms of the Maladjusted Behavior :-

  • আবেগের অস্থিরতা।

  • অনিদ্রা দুঃস্বপ্নের জন্য প্রায় ঘুম ভেঙে যাওয়া

  • অমনোযোগিতা ।

  • স্থির হয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না।

  • সবকিছু অত্যন্ত তীক্ষ্ণভাবে অনুভব করা।

  • এলোমেলো চলাফেলা করা।

  • সামান্য গন্ডগোল হলে ভীতু হয়ে থাকা ।

  • সবসময় আত্মসংকটে থাকা প্রভৃতি।

4. History of the Maladjusted behavior :-

▪ Past History :-

শিক্ষার্থীর মধ্যে অর্থাৎ সুমন দাসের মধ্যে এই ধরনের আচরণ জন্মের পর থেকেই পরিলক্ষিত হয় । কারণ শিক্ষার্থীর বংশগতি সূত্রে প্রাপ্ত শারীরিক গঠন অনুযায়ী মানসিক গত কিছু কারণ লক্ষ্য করা যায় ।

আত্মবিশ্বাসের অভাব , সিদ্ধান্ত নেয়ার অক্ষমতা , এবং কর্মক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ারও লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়।

Family History:-

সুমন দাসের পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়শই কলহ অশান্তি ফলে প্রাথমিক জীবনে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। যা একপ্রকার দুশ্চিন্তা এবং ভীরুতা লক্ষ্য করা যায়।ফলস্বরূপ সমাজের সদস্যরা  অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে  খুব একটা কথাবার্তা বলে না। সুতরাং পরিবারের সদস্যদের মানসিক সমস্যা থাকা ধরুন শিক্ষার্থী তথা সুমন দাসের মধ্যেও এই ধরনের অপসংগতিমূলক সমস্যা দেখা যায়।

5. Mental Condition :-

▪ Speech :  শিক্ষার্থীর কথা বলার ক্ষেত্রে কি সমস্যা আছে  ?   (Good / Bad✔️)

▪ Consciousness :   শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে সচেতন কিনা   ?  (Good/ Moderate/Bad✔️)

▪ Language : শিক্ষার্থীর ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি ধরনের সমস্যা আছে ? (Good/ Moderate/Bad✔️)

▪ Concentration :  শিক্ষার্থীর কোন বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারে ? (Good/ Moderate/Bad✔️)

▪ Impulse control:    শিক্ষার্থীর আবেগ গত সমস্যা আছে কিনা ?    (Yes✔️/No)

▪ Though:       শিক্ষার্থী সঠিকভাবে কথা বলতে পারে কিনা   ?  (Meaningful / Meaningless ✔️)

▪ Memory:       শিক্ষার্থীর সবকিছু স্মরণে রাখতে সক্ষম কিনা ?    (Good / Bad✔️)

▪ Judgment:  শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ে বিচার বিবেচনা ক্ষমতা আছে কি?   (Yes/No✔️)

▪ Insight:         শিক্ষার্থী কি অন্তর্দৃষ্টির  ক্ষমতা বিদ্যমান ?     (Yes/No✔️)

6. Presentation of data :-
{Data presentation with the Parent & the child}

আলোচ্য প্রাক্টিকামটি কেস স্টাডির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রথমে পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ এবং পরে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের বিবরণ হল,-

Interview of the Parent :

1. প্রশ্ন:- সুমন দাশ  কি অনিদ্রা জনিত রোগে ভোগে?

উত্তর:- হ্যাঁ ।

2. প্রশ্ন :- সুমন দাশ কি আত্মবিশ্বাসের সাথে সব কাজ করে?

উত্তর:- না। কোন কাজ করতে গেলে ভয় পেয়ে যায় সব সময় ভাবে যদি কিছু ভুল হয়।

3. প্রশ্ন :- সুমন দাশ কি খেলাধুলায়  বা পড়াশোনায় মনোযোগী?

উত্তর:- না। এক মনে খেলাধুলা বা পড়াশোনা করতে পারে না বা মনঃনিবেশ করতে পারে না।

4. প্রশ্ন :- সুমন দাস কি অস্থির প্রকৃতির ?

উত্তর:- হ্যাঁ । এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না। সব সময় একা থাকতে ভালোবাসে।

5. প্রশ্ন:-  আপনাদের কারো কি এ ধরনের কোন লক্ষণ দেখা যায়?

উত্তর :- সুমনের মা বললেন , হ্যাঁ । আমারও এরকম লক্ষণ দেখা যায়।

Interview of the child :

1. প্রশ্ন:- তুমি কি কোন কাজ করতে গেলে ভয় পাও?

উত্তর :- হ্যাঁ। ভয় হয়, যদি ভুল করে ফেলি ।

2. প্রশ্ন :- কোনো কাজে ভুল হলে কি হবে, কেন ভয় লাগে?

উত্তর:- ভুল হলে মা বাবা বকবেন ,স্কুলের স্যার ম্যাডাম বকবেন।

3. প্রশ্ন:- তোমার কি খেলতে বেশি ভালো লাগে?

উত্তর:- ক্রিকেট। কিন্তু এখানেও খুব ভয় পায় যদি খেলতে গিয়ে বল লেগে যায়। তাই খুব একটা খেলতে যাই না।

4. প্রশ্ন :- তুমি কি একভাবে মন দিয়ে অনেকক্ষণ পড়তে পারো?

উত্তর:- না পড়তে পড়তে নানা রকম কথা মাথার মধ্যে আসে।

5. প্রশ্ন:- তোমার রোজ খুলে যেতে ভয় লাগে ?

উত্তর:- হ্যাঁ। তবে যেদিন স্কুলের পড়া তৈরি হয় না,সেদিন স্কুলে যেতে ভয় করে।

6. প্রশ্ন:-  তোমার কি অন্ধকারে ভয় লাগে?

উত্তর :- হ্যাঁ অন্ধকারে তো ভয় লাগে। একা থাকলে ভয় পাই।

7.প্রশ্ন:- তুমি কি ঝগড়া পছন্দ করো?

উত্তর:-না ।আমি ঝগড়া পছন্দ করি না। ঝগড়া অশান্তি হলে আমার খুব ভয় পায়। আমি কারো সাথে কথা বলি না।

E. Analysis of data :-
(which are included)

Discussion:-

সাধারণত উল্লেখ্য শিক্ষার্থীর আচরণ পর্যবেক্ষণ ও তার পিতা-মাতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে যেসব তথ্য গুলি পাওয়া যায় সেগুলি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা শিক্ষার্থীর বংশগতি জনিত কারণে ফলে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে আবেগের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়, কাজে ভুল হলে শাস্তি পাওয়ার ভয় এইরকম ভীরুতা বা ভীতি শিক্ষার্থীকে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। কোন কাজ করতে গেলে সর্বদা নিজেকে গুটিয়ে নেয় সঠিক উত্তর ভেবেও শিক্ষার্থী বলতে পারেনা অর্থাৎ শিক্ষার্থীর মধ্যে মেজর পরিমাণে ভীরুতা লক্ষ্য করা যায়।

Interpretation:-

পরিবারের পিতা-মাতা কর্তৃক অশান্তি সর্বদা কলহর ফলে সুমন দাসের মানসিক সমস্যা দেখা যায়। তার জন্যই  ভীরুতামূলক অপসংগতি মূলক আচরণ করতে থাকে এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে উদাসীন থাকে ।সবকিছুকেই একটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিস্থিতির মধ্যে আকড়ে ধরে রাখতে চাই এবং সবসময়ই হতাশা উদ্বেগের  লক্ষ্য করা যায়।

ভীরুতা শিক্ষার্থীর শারীরিক মানসিক ক্ষমতার ক্ষতিসাধন করে তা এটিকে প্রতিহত করা দরকার তাই শিক্ষার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য যোগ্য ব্যায়াম যোগ্যচর্চা এবং পিতা-মাতা ও বিদ্যালয়ের সংবেদনশীল সহচর্যে এটিকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Physical Diagnostic:-

শিক্ষার্থীর সর্বদা মানসিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। শারীরিক গঠনগত সমস্যা তৈরি হয় সব সময় ভীরু হওয়ার কারণে এবং মানসিক চিন্তার কারণে রোগা এবং দুর্বল প্রকৃতির হয়।

সব সময় একটা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানসিক সমস্যায় ভোগে এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও দেখা যায় হঠাৎ করে বদমেজাজি রেগে যাওয়া এবং কথাবার্তার মধ্যে ভয় পাওয়া প্রকৃতি লক্ষণগুলো প্রকাশমান।

ভীরুতা যত সময় চিকিৎসা না করালে তা শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির বাধা প্রাপ্ত হতে পারে। যেহেতু অহেতুক ভীরুতা শিশুকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে ।তাই সমস্যার সমাধানের জন্য মনো: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়া যেতে পারে।

F. Conclusion :-

শিক্ষার্থীকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত করার জন্য ,যেসব দিকগুলি উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে সেগুলি হল- শিক্ষার্থীকে অজানা ভয় থেকে মুক্ত রাখতে হবে।নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। যে কোন কাজে উৎসাহ প্রদান করতে হবে ।কাজের সঠিক সময়ের পর পুরস্কার প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীর সক্ষমতা অনুযায়ী প্রত্যাশা গ্রহণ করতে হবে ।শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসের সহায়তা প্রদান করে  ভীতি কাটানোর চেষ্টা করতে হবে।

1 What did i learn:-

আলোচ্য বিষয়টিতে যে সকল তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়া গেল তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন অপসংগতিমূলক আচরণ গুলি সম্পর্কে জানা গেল। সমস্যাটি থেকে শিক্ষার্থীদের উপায় এবং ভবিষ্যৎ জীবন বিকাশের পথে সহজেই যাতে বাধা অতিক্রম করতে পারে সে বিষয়ে অবগত হওয়া গেল। পরিশেষে অপসংগতিমূলক আচরণ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরা কেন করে এবং কিভাবে দূরীকরণ করা যায় তা সহজেই বোধগম্য হলো।

2. Treatment suggested/ Management Plan for Action.

এই অপসংতিমূলক আচরণটি প্রতিহত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী এবং পিতা-মাতার কিছু দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হবে। যেগুলি হল-

শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে:-

  • শিশুর ভয় যাতে কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা ।

  • শিক্ষার্থীর নিজস্ব ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন  থাকা ।

  • আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করতে হবে।

  • শিশুকে বিভিন্ন কাজে উৎসাহ জাগ্রত করতে হবে।

  • অতিরিক্ত চাপ যাতে না দেয়া সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

পিতা-মাতার ক্ষেত্রে:-

  • শিশুর সামনে কোন রকম অশান্তি যাতে না হয় বা কলহ  যাতে না হয় সেদিকে পিতা-মাতাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

  • শিশুর ক্ষমতা অনুযায়ী প্রত্যাশা সৃষ্টি করতে হবে।

  • পারিবারিক পরিবেশ খোলামেলা হবে,  ভয় উদ্যোগকারী ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

  • পিতা-মাতা এবং সন্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

  • অন্তর্মুখী আচরণ থেকে বহুমুখী আচরণ সম্পাদনের উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে।

  • পরিশেষে অধিক পরিমাণে অপসংগতিমূলক আচরণ বা অহেতুক ভয় থাকার জন্য একজন মনো :চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় সুমন দাসের অহেতুক ভীতি অপসংগতি মূলক আচরণটি সঠিকভাবে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক মহাশয় কর্তৃক যদি সমস্যার সমাধান করেন। তবে ওই শিক্ষার্থীর মধ্যে অপসংগতিমূলক আচরণ হিসেবে ভীরু তাকে কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং স্বাভাবিক শিশুদের মতো সঙ্গতিবিধানে সামর্থ্য হবে।

তাহলে ওই শিক্ষার্থীর অপসংগতি মূলক আচরণের সদর সদর উত্তর উপায় খুঁজে বের করা যায় এবং শিক্ষার্থীর জীবন বিকাশের পরবর্তী দিনে সঠিকভাবে সংগতিবিধানে সমর্থ হবে।

G. References:-

  • Author last name, First Initial . (Year) . Book title : Subtitle. Publisher .


                                   Thank You

Share
error: Content is protected !!