B.Ed Semester – 4 , Course – 1.4.11 ( Work & Vocational Education ) Project on Paper making and paper cutting work for Envelop Making ( কাগজের তৈরির প্রকল্প – খাম তৈরী )

A. Introduction:

বর্তমান যুগের শিক্ষা হল এক জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া কিন্তু প্রাচীন কাল থেকেই হাতে-কলমে কাজের মাধ্যমে যে শিক্ষা লাভের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে , তা বাস্তব জীবনের প্রতি মুহূর্ত চলার পথে  আজ কর্মশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কর্ম শিক্ষার উদ্দেশ্য কোন বিশেষ পেশার উপযোগী করে বৃত্তি শিক্ষা দেয়া নয় । যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি উৎপাদন মুখী মানসিকতা গড়ে উঠবে, সামাজিক চাহিদা পূরণ হবে। অর্থাৎ বৃত্তিমুখী শিক্ষা হলো এমনই এক ধরনের কার্যকরী শিক্ষা যা , শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে, দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে এবং দরিদ্র বেকারত্ব দূর করতে সহায়তা প্রদান করবে। উ ৎপাদনশীল সময়ের প্রতি মর্যাদাবোধ জাগানো, ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের উৎপাদনাত্মক কর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব দূর হয় এবং সমাজের জন্য নিজেকে গড়ে তুলে এক সমৃদ্ধশীল শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানসিকতা গড়ে ওঠে।।

1. What is Work & Vocational Education:

কর্মশিক্ষা , এক কথায় বিদ্যালয়ের গৃহে সমাজ উপযোগী উৎপাদনাতক ও  কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষা অর্জন করে, তাই হল কর্মশিক্ষা। প্রাক স্বাধীনতার যুগে ওয়াধা কমিশনের সুপারিস অনুযায়ী বুনিয়াদি শিক্ষার মধ্য দিয়ে  ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় কর্ম শিক্ষার বীজ রোপিত হল। যেখানে শিক্ষার্থীর সামাজিক প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদনত্ব কিছু কাজ, শিক্ষা গ্রহণকালে সম্পাদন করবে ।যার মধ্য দিয়ে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা যেমন শিখবে তেমনি উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রয় করে পড়াশোনার খরচ চালাতে সক্ষম হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী পর্যায়ে রাধাকৃষ্ণন কমিশন,  মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন, কোঠারি কমিশনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অবলম্বনের  মধ্য দিয়ে কর্ম শিক্ষাকে বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা শুরু হয় । পরবর্তীতে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে ৩০শে এপ্রিল নবম ও দশম শ্রেণীতে কর্ম শিক্ষাকে ঐচ্ছিক বিষয়ে রূপে চালু করার নির্দেশিকা জারি করা হয়ে থাকে ।
অপরদিকে যে শিক্ষার দ্বারা কোন শিক্ষার্থীকে হাতে কলমে বাস্তব কাজের মধ্য দিয়ে কোন বিশেষ বৃত্তি সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে পারদর্শী করে তোলা যায়,  সেই শিক্ষাকেই  বৃত্তিশিক্ষা বলে।

2. Importance of Work & Vocational Education:

  • শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভরতা সাহায্য করে শিক্ষার্থীকে আর্থিক স্বচ্ছলতা দান করে।

  • শ্রমের প্রতি মর্যাদা নিয়ে শিক্ষার্থীকে উৎসাহ প্রদান করে।

  • শিক্ষা গ্রহণকালে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেয়।

  • ব্যতিক্রমী শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সহায়তা প্রদান করে।

  • জাতির উন্নয়নের সাহায্য করে।

  • সমাজের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গঠনের মাধ্যমে  সামাজিকতা গড়ে তোলা  যায়।

  •  সামাজিক প্রয়োজনের চাহিদা মেটানোর উপযোগী কোন বস্তুর উৎপাদন ক্ষমতার  বৃদ্ধি ঘটে ।

  • শিক্ষার্থীদের দলগত কর্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সামাজিকীকরণ গঠন করা ।

3. Identification of the Projects:

বহু প্রাচীনকাল থেকেই খামের ব্যবহার চলে আসছে। ডাক ব্যবস্থায় চিঠি আদান প্রদানের ক্ষেএে খামের ব্যবহার হয়। কিন্তু বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগে  খামের ব্যবহারের সংকীর্ণতা লক্ষ্য করা যায়। তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে খামের ব্যবহার প্রচলিত আছে। এবং খামের প্রয়োজনীয়তা বিশেষ লক্ষ্য করা যায়, বিশেষত চিঠি আদান-প্রদানর জন্য অফিসসে খামের ব্যবহার প্রভৃতি ক্ষেত্রে খামের এখনো বহুল প্রচলিত ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই আজকে তাই প্রকল্পটি হল কিভাবে কাগজের খাম তৈরি করতে হয় ।

তাই গৃহীত প্রকল্প হলো কাগজের খাম তৈরি ।

B. Objectives:

কাগজের খাম তৈরির শেষে  আলোচ্য প্রকল্পটি সম্পর্কে যে সকল উদ্দেশ্য গুলি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে, সেগুলি হল –

  1. কাগজের খাম তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি জানা যাবে।

  2. কিভাবে কাগজের তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে।

  3. অ্যারারুট আঠা ব্যবহারের ফলে খামটিকে পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্য চরিত্র হবে ।

  4. একে অপরের  সহযোগিতার মনোভাব জন্মাবে।

  5. কর্ম সম্পাদনের সময় উপকরণের সঠিক ব্যবহার শেখা যাবে।

  6. বিভিন্ন সমস্যা অনুযায়ী সমাধানযোগ্য বিষয়ের পরিচয় ঘটবে।

  7. পরিশেষে উৎপন্ন দ্রব্যের উপযুক্ত ব্যবহারের প্রতি সদর্থ্য মনোভাব ও সামর্থ্য গড়ে উঠবে।

C. Methodology:

1. Materials:

খাম প্রস্তুতির জন্য, যে সকল উপকরণগুলি প্রয়োজন, তা  হল –

  • একটি সাদা ফুল স্কেপ সাদা কাগজ অথবা ব্রাউন পেপার। ( ২৭ সেন্টিমিটার  X ২১ সেন্টিমিটার । )

  •  আঠা এবং বিভিন্ন রং।

2. Essentials Tools:

প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি হল – 

  • স্কেল ।

  • পেন্সিল ও রাবার ।

  • কাঁচি ।

  • তুলি ও প্যালেট ইত্যাদি।

3. Evaluation of Price Value:

মূল্যায়ন :

  • আর্থিক মূল্য ৭৫ পয়সা ।

  • বিক্রয় মূল্য ১ টাকা।

  •  পারিশ্রমিক মূল্য  ( ১ টাকা – ৭৫ পয়সা ) = ২৫ পয়সা।

গুণগত মূল্যায়ন :

খুব ভালো Ο,  ভালো  Ο√,  মাঝারি  Ο, খারাপ  Ο ,

কিভাবে সঠিক ভাবে খুব সহজেই  কাগজ দিয়ে খাম তৈরি করা যায়, সে সম্পর্কে যেমন ধারণা অবগত হওয়া যাবে। তেমনি খাম প্রস্তুতের মধ্য দিয়ে নিজেদের যেমন প্রয়োজন মেটানো যাবে এবং এর দ্বারা বিক্রয় করেও আর্থিক সচ্ছলতা আনা যাবে।

D. Procedure: 

 একটি খাম প্রস্তুতিকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে গুলোর মধ্য দিয়ে  খুব সহজেই কাগজের খাম প্রস্তুত করা যায়। খাম প্রস্তুতিকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে গুলি হল।

Step -1

প্রথমেই একটি ২৭ সেন্টিমিটার X ২১ সেন্টিমিটারের মোটা সাদা কাগজ বা ব্রাউন পেপার নিয়ে নিতে হবে। পেপারের চার দিকে ABCD মার্ক করতে হবে।

Step -2

পেপারের চার দিকে ABCD মার্কিং করে তার ওপরে দিকে প্রান্ত থেকে ভেতরের দিকে  EF  বরাবর ২ সেন্টিমিটার ভেতরে এবং নিচের দিকে প্রান্ত থেকে  GH  বরাবর ১ সেন্টিমিটার ভেতরে পেন্সিল দিয়ে দুটি লম্বা লাইন টেনে নিতে হবে।

Step -3

এরপর AD এবং BC প্রান্ত থেকে ৭ সেন্টিমিটার ভেতরে  LM  ও  OP  দুটি লম্বা দাগ টানতে হবে।

Step -4

তারপর এই দাগ বরাবর  EF  ও  GH  এবং  LM  ও  OP  কাগজটি ভাঁজ করে নিতে হবে। 

Step -5

এরপর চিত্রের  শেড দেওয়া অংশগুলির মতো, যেটা পেন্সিল দিয়ে চিহ্নিত করা আছে। যেমন- AJQL , LQX, XOR, ORKB, GSTD, UHCV, মার্কগুলি  কাঁচি দিয়ে কেটে নিতে হবে। 

Step -6

এরপর ডান দিকের ৩ নম্বর ও মাঝের নীচের দিকে ৪ নম্বর অংশের মুক্ত প্রান্ত ধরে সরু করে আঠা লাগিয়ে, প্রথম ১ নম্বরটি  ২ নম্বরের অংশের ওপর ভাঁজ করে বসিয়েতার ওপর ৩ নম্বরের আঠা লাগানো অংশটি ১ নম্বর অংশের ওপর বসিয়ে চেপে আটকে দিতে হবে ।  

 

এরপর ৪ নম্বর অংশটি ১  ও  ২ নম্বরের অংশটি নীচের দিকে চেপে আটকে দিতে হবে।

 এরপর খাম তৈরি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে

Step -7

এরপর খামের উপরে বা নীচের কোনে আলপনা এঁকে খামটি সুন্দর সৌখিন করে তোলা যেতে পারে। তাহলেই খাম তৈরি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।।

     

E. Conclusion:

সুতরাং কোন জাতি ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য ব্যক্তির সর্বাঙ্গিক বিকাশের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক এর কর্মকৌশলতা কঠোর পরিশ্রমের সামর্থ্য ও অভ্যাস এবং আদর্শ মূল্যবোধ গঠনে কর্ম শিক্ষার প্রবর্তন হয়েছে। কর্মশিক্ষা একদিকে যেমন ব্যক্তিত্বের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের সাহায্য করে তেমনি অপরদিকে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। যা শিক্ষার্থীর মনে কর্ম প্রেরণার জীবনব্যাপী শিক্ষার সমস্যার সমাধানের প্রয়াস প্রভৃতি কর্ম শিক্ষার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে।বর্তমানে শিক্ষার চারটি স্তম্ভ যথা – জানার জন্য শিখন, কাজ করার জন্য শিখন, একত্রে বসবাস করার জন্য শিখন, এবং হয়ে ওঠার জন্য শিখন, এই চারটি স্তম্ভের সদর্থক প্রয়োগী কর্ম শিক্ষার ক্ষেত্রে লক্ষণীয়।

সর্বোপরি স্বামী বিবেকানন্দের মতে , Man Making Education এর সদার্থক হল কর্ম শিক্ষার মধ্য দিয়ে সার্বিক শিক্ষা অর্জন করা। কর্ম এবং বৃত্তি শিক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজের প্রতি একটা ভালোবাসা, প্রবণতা গড়ে উঠবে ।ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের চরিত্রের বিকাশ ঘটবে এবং জীবিকা ও স্বেচ্ছামূলক সমাজসেবায় মনস্তাত্ত্বিক দৃঢ়তা গড়ে উঠবে।

What did I Learn?

  • এই কাজটি শিখে নিজের প্রয়োজনে  ব্যবহার করা যাবে ।
  • এই প্রকল্পটি শুধু নিজের সমস্যা –  সমাধানের জন্য নয়, বর্তমানে সকল খাম তৈরীর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে হবে।
  • এছাড়া এই কাজটির মধ্য দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের উপর শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গড়ে উঠবে এবং জীবিকা অর্জনের দিশা দেখাবে।

F. Reference:

(Use APA Format)


PDF দেখুন

Project on Paper making and paper cutting work for Envelop Making ( কাগজের তৈরির প্রকল্প - খাম তৈরী )
Share
error: Content is protected !!