Framing Different Types of Questions.Practicum on B.Ed.C-1.2.9. ( বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন তৈরি করন )

Practicum on Framing Different Types of Questions. (B.Ed/C-1.2.9) ( বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন তৈরি করন )

A . INTRODUCTION :-

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মনো ঃসংযোগ তৈরি করার কৌশল গুলির মধ্যে অন্যতম হলো প্রশ্ন করন। প্রশ্ন করনের মাধ্যমে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়, তেমনি ছাত্রছাত্রীরা কতটা শিখন পারদর্শিতা অর্জন করলো, তাও যাচাই করার জন্য প্রশ্ন করন করা হয় ।তাই শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে পাঠ দানের সময় কিছু না কিছু প্রশ্ন করণ করে থাকেন ।কখনো সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য, আবার কখনো রচনাধর্মী প্রশ্নের জন্য, এর ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে ওঠে। ফলতো কোন একটি শ্রেণী থেকে বা শ্রেণী শেষ করে অন্য শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে গেলে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়ে থাকে।এই সমস্ত পরীক্ষাগুলিতে বিভিন্ন ধরনের  নির্মিত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে ।সেখানে যেমন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে, তেমনি থাকে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ।এমন কিছু প্রশ্ন থাকে, যার উত্তর দানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা , চিন্তাভাবনা প্রকাশ পায় ।তাই বলা যায় পড়াশোনার সাথে পরীক্ষা ব্যবস্থায় প্রশ্ন করুন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

মনোবিদায় বলা হয়েছে যে, কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া, যা মানসিক সক্রিয়তা উদ্দীপকের সাহায্যে শুরু হয়। অর্থাৎ কোন উদ্দীপক, আমাদের ইন্দ্রিয়কে উত্তেজিত করলে বিশেষ করে স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া বা আচরণের সৃষ্টি হয় । প্রশ্ন ব্যক্তিজীবনের উদ্দীপকের কাজ করে ।ফলে তার সাহায্যে শিক্ষামূলক প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া বা আচরণগুলী সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।

সুতরাং প্রশ্ন করণ প্রক্রিয়া, মনোবিজ্ঞান সম্মত শিখন পদ্ধতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। যা শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বিষয়বস্তুগত পারদর্শিতা অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক আচরণ নির্ধারণের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ,যার ফলে শিক্ষার্থীর প্রকৃত পারদর্শিতার বিচার করা সম্ভব।

B. OBJECTIVES :-

আলোচ্য প্র্যাকটিকামটি সম্পন্ন করার শেষে , যে সকল উদ্দেশ্য গুলি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে , সেগুলি হল-

  1. শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের নৈব্যত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন, রচনাধর্মী প্রশ্ন, নির্মাণে পারদশী করে তোলা।

  2. সৃজনশীল প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর দক্ষতার বইিঃ প্রকাশ ঘটানো ।

  3. পাঠ্যপুস্তকের একক মধ্যস্থিত  বিষয়ক ধারণা ও আচরণগত উদ্দেশ্য নির্ণয়ে শিক্ষার্থী – শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে ।

  4. বোধমূলক প্রশ্ন নির্মাণের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়তে থাকে ।

  5. একটি প্রশ্ন করনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত পারদর্শিতা জানা সম্ভব হয়।

  6. প্রশ্নকরনের বিভিন্ন পদ গুলি কিভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিকাশের  তারতম্য ঘটে সে সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে।

  7. একটি আদর্শ উত্তম প্রশ্নাবলী তৈরি প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে।

C. IMPORTANCE OF THE PRACTICUM :-

আলোচ্য প্র্যাকটিকামটির গুরুত্ব গুলি হল –

  • বিভিন্ন প্রকার প্রশ্ন নির্মাণের কৌশল সম্পর্কে এবং প্রশ্নের সুবিধা- অসুবিধা সম্পর্কে শিক্ষার্থীর -শিক্ষকের অবগত হওয়া যাবে।

  • শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মূল্যায়ন কিভাবে সম্ভব এবং মূল্যায়ন কৌশলী হিসেবে অভিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীর- শিক্ষকের অবগত হওয়া যাবে।

  • বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী- শিক্ষকের মনোযোগ বাড়তে থাকে।

  • বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন গঠনের জন্য শিক্ষক- শিক্ষার্থী নিখুঁতভাবে পাঠক্রমনের অভ্যাস তৈরি করবে।

  • আদর্শ প্রশ্নাবলী নির্মাণের দিকগুলি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে প্রশ্ন বলে নির্মাণের অবজেক্টিভ উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

D. DIFFERENT TYPES OF QUESTIONS :-  (বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নাবলী)

প্রশ্ন কি – প্রশ্ন হল কোন তথ্য সংগ্রহ করার অনুরোধ বা উত্তরযোগ্য কোন মন্তব্য কে বর্ণনা করার প্রক্রিয়া।

একটি ভালো প্রশ্নের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকে এবং সেই বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

  • স্পষ্টতা ।

  • বিশেষ ধর্মিতা ।

  • প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রভৃতি, বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে ধারণা রেখে একটি আদর্শ প্রশ্ন তৈরি করা যায়।।

প্রশ্নের ব্যবহার – প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের যেমন চিন্তন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে ,তেমনি প্রশ্নের অন্যান্য মনোবিজ্ঞানিক ভিত্তি কে কেন্দ্র করে শ্রেণিকক্ষে সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করে মূল্যায়ন করা যায় ।এ ছাড়া শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক মহাশয় প্রশ্ন করনের মধ্য দিয়ে শিখন প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়িত হওয়ার লক্ষ্যে উপনীত হতে পারেন।

তেমনি প্রশ্নের বিভিন্ন উপযোগিতা গুলি হল  –

  • মূল্যায়নগত উপযোগিতা ।

  • প্রেষণামূলক উপযোগিতা ।

  • চিন্তন মুলক উপযোগিতা ।

  • বিকাশমূলক উপযোগিতা প্রভৃতি ।

প্রশ্নের শ্রেণিবিভাগ  – ব্লুমস (R.B.T) ট্যাক্সোনমি অনুযায়ী প্রশ্নের শ্রেণিবিভাগ গুলি হল –

  • স্মরণমূলকপ্রশ্ন :- স্মরণমূলক প্রশ্ন যা শিক্ষার্থীর জ্ঞানভাণ্ডার পরিমাপের চেষ্টা করা হয় ।

  • বোধমূলক প্রশ্ন :- বোধ মূলক প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অনুবাদ বিষয়ক বোধ পরীক্ষা করা হয় ।

  • প্রয়োগমূলক প্রশ্ন  :- প্রয়োগমূলক প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের অর্জিত কোনো নিয়ম প্রয়োগে উৎসাহ দেয়া হয় ।

  • বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন :- বিশ্লেষণমূলক প্রশ্নে শিক্ষার্থীকে বিষয়ের উপাদান ভিত্তিক দিকগুলির উপর                                                  আলোকপাত করতে সাহায্য করা হয়

  • মূল্যায়নমূলক প্রশ্ন  :- মূল্যায়নধর্মী প্রশ্নে শিক্ষার্থীর অর্জিত জ্ঞান ও ধারণার মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে ।

  • সৃজনমূলক প্রশ্ন :- সৃজনমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে মুণ্ত্ত ভাবে বিচর করণ এবং জ্ঞানকে উৎসাহিত করা হয়ে                                     থাকে।

পাঠের উদ্দেশ্য অনুসারে প্রশ্নের শ্রেণীবিভাগ বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নাবলী গুলি হল যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকের জ্ঞানের তারতম্যকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আলোচনা করার পরিপেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে ।যেমন-

  • পরীক্ষণমূলক প্রশ্ন ।

  • অনুশীলনমূলক প্রশ্ন ।

  • পুনর বিচারমূলক প্রশ্ন ।

  • অনুসন্ধান মূলক প্রশ্ন ।

  • বিষয় কেন্দ্রিক প্রশ্ন ।

  • শৃঙ্খলামূলক প্রশ্ন প্রভৃতি ।

E. FRAMING A QUESTIONS(TEST ITEM) :-

একটি আদর্শ পাঠ্যপুস্তকে প্রশ্নাবলী নমুনা উল্লেখ করা হলো।

1.  CONTENT ANALYSIS :-

(এই প্রাকটিক্যালটি যার যে মেথড বিষয়, সে অনুযায়ী তৈরী করা উচিৎ )

পাঠ্যপুস্তক বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ সংক্রান্ত সাধারণ তথ্য :-

বিষয়ঃ-   শিক্ষা বিজ্ঞান ।                            এককঃ-   শিক্ষার  উপাদান সমূহ।

শ্রেণীঃ-   একাদশ ।                              উপ- এককঃ-   শিক্ষার্থী , শিক্ষক  , পাঠ্যক্রম  , বিদ্যালয়  ,।

                                                            আজকের পাঠঃ-  সমগ্র উপ -একক।

2.  BEHAVIOURAL OBJECTIVES :-

আচরণগত উদ্দেশ্যসমূহ –

১.স্মরণমূলক:শিক্ষা প্রক্রিয়ার প্রধান উপাদান কি তা শিক্ষার্থীরা স্মরণ করতে পারবে । (তথ্যগত জ্ঞান)

                         .  বিদ্যালয়ের সংজ্ঞা কি হবে তা শিক্ষার্থীরা বলতে পারবে ।                         (তথ্যগত জ্ঞান)

২. বোধমূলকঃ- . পাঠক্রমের গতানুগতিক ও আধুনিক ধারণা সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা পার্থক্যকরণ করতে পারবে।                                                                                                                                                                               (ধারণাগত জ্ঞান)

                          . শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষকের ভূমিকা   ব্যাখ্যা করতে পারবে ।(পদ্ধতিগত জ্ঞান)

৩. প্রয়োগমূলকঃ- . শিক্ষার্থীরা পাঠক্রমের শ্রেণীবিভাগগুলি উল্লেখ করতে পারবে ।              (তথ্যগত জ্ঞান)

                          .শিক্ষার্থীরা পাঠ্যক্রমের আধুনিক ধারণা সম্পর্কে মতামত দিতে পারবে।(ধারণাগত জ্ঞান)

৪.বিশ্লেষণমূলকঃ-. শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য গুলি বিশ্লেষণ করতে পারবে ।                (তথ্যগত জ্ঞান)

                          . শিক্ষার্থীরা পাঠক্রমের পর্যায়ক্রমিক সম্পর্কসমূহ বিশ্লেষণ করতে পারবে।(ধারণাগত জ্ঞান)

৫.মূল্যায়নমূলকঃ- শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সহজাত গুণাবলীর গুরুত্ব বিচার করতে পারবে।    (পদ্ধতিগত জ্ঞান) 

                           .শিক্ষার্থীরা শিক্ষার উপাদান হিসেবে পাঠ্যক্রমের মূল্যায়ন করতে পারবে। (ধারণাগত জ্ঞান)

৬.সৃজনমূলকঃ- .শিক্ষক শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের অর্জিত গুণাবলী গুলি একটি চার্টের মাধ্যমে দেখাতে পারবে।                                                                                                                                                                                      (তথ্যগত জ্ঞান)

                     .শিক্ষা কেন পাঠক্রমের ওপর অধিক নির্ভরশীল তা যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারবে।   (অধি জ্ঞান) 

3.  DISTRIBUTION TEST ITEMS FOR BEHAVIOURAL OBJECTIVES (R.B.T) :-

                                    আসনগত উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে নম্বর বিভাজন
ক্রমিক সংখ্যা  উদ্দেশ্য ভিত্তিক প্রশ্ন সংখ্যা নম্বর শতকরা 
1 স রণমূলক  ১০ %
2 বোধমূলক ১৫ %
3 প্রয়োগমূলক ১৫ %
4 বিশ্লেষণমূলক ১৫ %
5 মূল্যায়নামূলক ১০ %
6 সৃজনমূলক ৩৫ %
মোট = ২০ ১০০

4.  DISTRIBUTION OF THE TEST ITEM :-

প্রশ্নের ধরন অনুসারে নম্বর বিভাজন
ক্রমিক সংখ্যা প্রশ্নের ধরন /প্রশ্ন সংখ্যা নম্বর শতকরা 
1 নৈব্যত্তিক প্রশ্ন  ৩০ %
2 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ ১৫ %
3 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন  ৩০ %
4 রচনাধর্মী প্রশ  ২৫ %
মোট = ২০ ১০০

5.  PREPARATION OF THE TEST ITEM :-

অভীক্ষা পত্র/প্রশ্ন পত্র


বিষয়ঃ- শিক্ষাবিজ্ঞান ।                                                                                   পূর্ণমানঃ-   ২০                       শ্রেণীঃ- একাদশ ।                                                                                              সময়ঃ-  ৪০ মিনিট।                   এককঃ- শিক্ষার উপাদান সমূহ।


A. নৈবর্তিক প্রশ্ন :

1.সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।                                                                   (১ x ৩  = ৩)

(i) শিক্ষার প্রধান উপাদান –                                                                (তথ্যগত স্মরণমূলক)

(a) শিক্ষক  । (b) শিক্ষার্থী ।  (c) পাঠ্যক্রম । (d) বিদ্যালয় ।

(ii) শিক্ষার্থী যা কিছু শেখে তাই হল পাঠ্যক্রম, উক্তিটি কার –              (ধারণাগত বোধমূলক)

 (a) পেইনির  ।  (b ) হরিনর । (c) ক্যানিংহাম । (d) ফ্রয়েবেল ।

(iii) শিক্ষাকে বাগানের মালি রূপে অভিহিত করেছেন –                      (ধারণাগত বোধমূলক)

(a) রবীন্দ্রনাথ । (b) ফ্রয়েবেল । (c) ডিউই   ।  (d) মণ্ডেসরি  ।

2.শূন্যস্থান পূরণ কর –                                                                              (১x৩ = ৩)

(i) কারিকুলাম শব্দটি _______ শব্দ থেকে এসেছে।                  (তথ্যগত বিশ্লেষণমূলক)

(ii) পাঠক্রম শিক্ষার লক্ষ্য নয় লক্ষ্যে পৌঁছানোর ______।       (তথ্যগত বিশ্লেষণমূলক)

(iii)আধুনিক পাঠ্যক্রম ______নির্ভর ।                                    (তথ্যগতবিশ্লেষণমূলক)

B. অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

( এক কথায় উত্তর দাও)                                                                           (১ x ৩ = ৩)

(i) বিদ্যালয় শব্দর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কি ?                                           (তথ্যগত স্মরণমূলক)

(ii)মানবতাবাদীদের মতে শিক্ষার লক্ষ্য কি ?                                       (তথ্যগত বোধমূলক)

(iii) পাঠক্রম প্রণয়নে মনোবিজ্ঞানিক দিক কোনটি  ?                        (পদ্ধতিগত প্রয়োগমূলক) 

C. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:                                                                 (2 x ৩ = ৬)

(i) শিক্ষায় শিক্ষকের গুরুত্ব কি ?                                                         (তথ্যগত  মূল্যায়নমূলক)

(ii) শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গিক বিকাশের দুটি উদাহরণ দাও ?                        (পদ্ধতিগত প্রয়োগমূলক) 

(iii) বিদ্যালয় কে কেন শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলা হয় ?       (তথ্যগত সৃজনমূলক )

D. রচনাধর্মী প্রশ্ন:                                                                (  ৫ x ১= ৫)

(i) পাঠক্রম কি ? আদর্শ পাঠ্যক্রম গঠনের নীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা কর।          (অধি জ্ঞান সৃজনমূলক


F.  CONCLUSION:-

একটি আদর্শ প্রশ্ন করনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো ত্রুটিমুক্ত প্রশ্ন করন। একটি আদর্শ প্রশ্নের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ত্রুটিমুক্ত প্রশ্ন প্রত্তুতকরন। শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা পরিমাপের জন্য প্রশ্ন করনের ক্ষেত্রে অভীক্ষা পদগুলি বা প্রশ্নগুলিকে তৈরি করতে হয়। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীর কাঙ্ক্ষিত শিখন সামর্থ্য অনুসারে প্রশ্নপত্র গুলিকে তৈরি করে শিক্ষার্থীর আদর্শিত পারদর্শিতা পরিমাপের প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রয়োগ করা হয়। তাই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রশ্নের বিভিন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে সহায়তা করাতে পারেন এবং  একটি অভীক্ষার নৈবর্তিকতা, যথার্থতা এবং নির্ভরযোগ্যতা উপর ভিত্তি করে সঠিক  নর্ম এর মাত্রা বাজায় রেখে একটি প্রশ্নপত্র উপস্থাপন করা হয়।  যেখানে প্রশ্নের নৈবর্তিকতা ,প্রশ্নের রচনাধর্মিতা, প্রভৃতি দিক লক্ষ্য রেখে একটি আদর্শিত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্রের একটি নিরপেক্ষতা দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়। যা রচনাধর্মী প্রশ্নের মধ্যে লক্ষণীয় ।তাই একটি আদর্শিত প্রশ্নকে যদি বেশি মাত্রায় নৈমত্তিক ভাবে  প্রয়োগ করা যায় ।তাহলেই শিক্ষার্থীর প্রকৃত পারদর্শিতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

WHAT DID I LEARN-

সুতরাং এই প্রাক্টিকাম থেকে যে সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত হওয়া গেল, সেগুলি হল –

  • কিভাবে একটি আদর্শিত প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হয়,

  • কিভাবে একটি বিষয় বস্তুকে নির্বাচন করে এককের উপ এককে শিক্ষার্থীর শিখন সামর্থ্য অনুসারে বিষয়বস্তু থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা নির্ণয়ের যথাযত ধারণা সম্পর্কে অবগত হওয়া গেল।

  • রিভাইস ব্লুম ট্যাক্সোনমি (RBT) অনুসারে কিভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হয়l সে সম্পর্কে অবগত হওয়া গেল ।

  • ট্যাক্সোনমির বৌদ্ধিক মাত্রায় কিভাবে শিক্ষার্থীর কাঙ্খিত শিখন সমর্থনকে উন্নতি সাধন ঘটানো যায় সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেল।

পরিশেষে বলা যায় ,একটি আদর্শিত প্রশ্নের বিভিন্ন দিক থাকলেও  সেই প্রশ্নটিকে আদর্শিতভাবে দক্ষ শিক্ষক কর্তৃক নির্মাণ করে শিক্ষার্থীর পারদর্শিতাকে সম্পূর্ণরূপে পরিমাপ করা সম্ভব।।

G.  REFERENCE:-

(APA Style)

example for:- Author last name, First initial, (Year). Book title : Publishers.


সম্পূর্ণ তথ্য জানতে  PDF  দেখুন ⇓

Practicum on Framing Different Types of Questions.
Share
error: Content is protected !!